আবারও কাঠগড়ায় হিগুয়েন

গঞ্জালো হিগুয়েনের সামনে তখন শুধু ম্যানুয়েল নুয়্যারই ছিলেন। কোনোমতে তাঁকে ফাঁকি দিয়ে বলটা জালে ঠেলে দিতে পারলেই চলত। হয়তো তাতেই ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপাটা উঠতে পারত আর্জেন্টিনার হাতে। তবে হিগুয়েন পারেননি, তাঁর কিক নেওয়া বল চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।
ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে সেদিন বিশ্বকাপটা জিতেই মাঠ ছাড়তে পারতেন লিওনেল মেসিরা। যদি না ম্যাচের প্রথমার্ধে সহজ ওই গোলের সুযোগ হেলায় না হারাতেন হিগুয়েন। কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকের সঙ্গে সে দুঃখ এখনো ভুলতে পারেননি সাবেক ডিফেন্ডার আলফিও বাসিলে।
সাবেক এই আর্জেন্টাইন কোচ নিজের আত্মজীবনীতে সেই বিশ্বকাপ হারের দায়টা দিয়েছেন নাপোলি ফরোয়ার্ডের ওপরেই। ‘জেনারেশিও লিও’ নামের গ্রন্থটিতে বাসিলে লিখেছেন, ‘যতবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের কথা স্মরণ করা হবে, ততবার হিগুয়েনকে সেই পরাজয়ের দায় নিতে হবে। সে পুরোপুরি ফাঁকা জায়গায় ছিল, শুধু ২০ মিটারের দূরত্ব ছিল তাঁর পোস্ট থেকে। যেকোনোভাবে সে পারত বলকে জালে নিতে। কিন্তু হিগুয়েন বলটা মেরেছিল বাইরে দিয়েই।’
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে জার্মানদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২০ মিনিটে টনি ক্রুজ তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটাই করে বসলেন। হেড দিয়ে গোলরক্ষকের কাছে বল পাঠাতে গিয়ে দিয়ে ফেললেন হিগুয়েনের কাছে। জিভে কামড় দেওয়ার সঙ্গে ক্রুজের মাথায় চলছিল দেশে ফিরবেন কীভাবে!
না, হিগুয়েন সাবেক ক্লাব সতীর্থকে দেশে ফিরতে দিয়েছেন, বিশ্বকাপ বগলদাবা করেই দেশে ফিরেছিলেন ক্রুজ। এমন গোল বরং মিস করাটাই কঠিন। সে কঠিন কাজ করে আর সহজ গোলটা করতে পারেননি তিনি। প্রথম দুই অর্ধই আর্জেন্টিনা কাটায় গোলশূন্য অবস্থায়। জার্মানরাও কোনো গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৩ মিনিটে মারিও গোতজের গোলটা তো স্তব্ধ করে দেয় পুরো আর্জেন্টিনাকেই!

No comments

>
Powered by Blogger.