‘হাথুরু হাথুরু’ করেই পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারিয়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে এক ঝটকায় মাটিতে নামিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা। আড়াই দিনে টেস্ট হেরে বসে থাকলে আর কিছু বাকি থাকে নাকি! এর আগে লঙ্কানদের কাছে হারিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপাও। মুশফিক, তামিমরা কোথায় যেন হারিয়ে বসেছে কয়েক বছরের চেনা সুর। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে এখন চলছে তার ময়নাতদন্ত। সে তদন্তে নামতে না চাইলেও বাংলাদেশ দলের হারের কারণ কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে বলেই ফেললেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ।
খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু এই হারটা তো চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ‘হাথুরু’ ‘হাথুরু’! মাঠের খেলার চেয়ে বরং হাথুরুকে নিয়েই আলোচনা হয়েছে বেশি। সেটা গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সবার মধ্যেই। বাংলাদেশের এই ভরাডুবির পেছনে এই ‘হাথুরু’মগ্নতাকেই দায়ী করেছেন মাহমুদ। তাঁর মতে, এত ‘হাথুরু’ ‘হাথুরু’ করার কারণেই খেলোয়াড়দের মনোযোগটা সরে গেছে। আজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘হাথুরুকে নিয়ে মনে হয় বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। এটা নেতিবাচক হয়ে গিয়েছে। হাথুরু মনে হয় বেশি ছিল মাথায়। ওর আমলে কী করেছে না করেছে, এটা নেতিবাচক মানসিকতা ছিল। আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়েরা। তারা যদি না করতে পারে, তবে কঠিন। বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু নেই। এদের তো সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য থাকার পরও না পারলে বলতে হবে মানসিকতা; অন্য কিছু নয়।’
খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু এই হারটা তো চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ‘হাথুরু’ ‘হাথুরু’! মাঠের খেলার চেয়ে বরং হাথুরুকে নিয়েই আলোচনা হয়েছে বেশি। সেটা গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সবার মধ্যেই। বাংলাদেশের এই ভরাডুবির পেছনে এই ‘হাথুরু’মগ্নতাকেই দায়ী করেছেন মাহমুদ। তাঁর মতে, এত ‘হাথুরু’ ‘হাথুরু’ করার কারণেই খেলোয়াড়দের মনোযোগটা সরে গেছে। আজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘হাথুরুকে নিয়ে মনে হয় বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। এটা নেতিবাচক হয়ে গিয়েছে। হাথুরু মনে হয় বেশি ছিল মাথায়। ওর আমলে কী করেছে না করেছে, এটা নেতিবাচক মানসিকতা ছিল। আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়েরা। তারা যদি না করতে পারে, তবে কঠিন। বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু নেই। এদের তো সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য থাকার পরও না পারলে বলতে হবে মানসিকতা; অন্য কিছু নয়।’
মাহমুদের কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশি সমর্থকদের উচিত হবে ভুলেও ‘হাথুরু’ নামটা মুখে না আনা! হাথুরু শব্দের (ব্যক্তি হাথুরু নয়) প্রতি মাহমুদের ক্ষোভ থাকলেও আরেক শ্রীলঙ্কানের মাথায় ছাতা ধরেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভাকে নিয়ে যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে, তা তাঁর মোটেও পছন্দ হয়নি বলে খাস বলে দিয়েছেন, ‘গামিনিকে নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু ও তো চাকরি করে। ওকে যেভাবে বলা হয়েছে বোর্ড থেকে, ও সেভাবেই উইকেট বানিয়েছে। ওর দোষ কী? ওর চাকরি খাওয়া দরকার হয়ে গেছে। কেন আমরা ওর চাকরির পেছনে লাগলাম। উনি কি বাংলাদেশের জন্য ভালো কাজ করে নাই? চন্ডিকা যেভাবে উইকেট চেয়েছে, সেভাবে বানিয়ে দেয় নাই? ও একটা বিদেশি মানুষ বলে ওর ওপর চাপিয়ে দিয়ে বললাম ওকে শূলে চড়াও, ওকে মাইরা ফালাও। এটা ঠিক না।’
No comments
Post a Comment